রাজধানী ঢাকায় একদিনের ব্যবধানে আবারও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়। এর মাত্র একদিন আগেই ঢাকায় ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে এই পুনঃভূমিকম্পের ঘটনা জনমনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে এবং চরম ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকার জন্য একে ‘অশনিসংকেত’ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার সংঘটিত তীব্র ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার সন্ধ্যায় মৃদু বা মাঝারি মাত্রার এই কম্পন অনুভূত হয়। ভূ-বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এত কম সময়ের মধ্যে পরপর দুবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়া অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। এটি নির্দেশ করে যে, ভূ-অভ্যন্তরে সঞ্চিত চাপ দ্রুত মুক্তি পাচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়া ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ এবং অপরিকল্পিত নগরের জন্য গুরুতর ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
ভূতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে ঢাকা শহর তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় এটি আগে থেকেই ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। এর ওপর, অপরিকল্পিত নগরায়ন, পুরোনো ও দুর্বল ভবন এবং উদ্ধার তৎপরতার অপ্রতুলতা ঢাকা শহরকে বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ মেগাসিটিতে পরিণত করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরপর এই কম্পনগুলো বড় মাত্রার ভূমিকম্পের পূর্বে ভূমির স্থিতিশীলতা হারানোর ইঙ্গিত হতে পারে। এই দ্রুত পুনঃকম্পন রাজধানী ঢাকার ভঙ্গুর অবকাঠামো এবং দুর্বল প্রস্তুতিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
বারবার কম্পন অনুভূত হওয়ায় ঢাকা এখন বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে দাঁড়িয়ে আছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

0 Comments